শনিবার ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে— তিনি ইতিহাস বিকৃত করে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন। রবিবার সরাসরি বাংলাকে অসম্মান করার অভিযোগে প্রতিবাদে সরব হন টলিউডের বেশ কিছু নামকরা পরিচালক ও প্রযোজক। তাঁদের বক্তব্য, বাঙালির অপমান আর চুপ করে মেনে নেওয়া হবে না।
অভিযোগকারীদের অনেকের মতে, ‘বেঙ্গল ফাইলস’ হোক, ‘কেরল ফাইলস’ হোক বা অন্য কোনও ছবি— সিনেমা মানেই সমাজের প্রতিচ্ছবি। সিনেমা থেকেই মানুষ সত্য জানতে চায়। তাহলে একই যুক্তিতে প্রশ্ন ওঠে, কেন ‘পরজানিয়া’, ‘ফিরাক’, ‘চাঁদ বুঝ গয়া’, ‘আবির গুলাল’ বা ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ ছবিগুলির উপর এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে? সাধারণ দর্শককে সত্য জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে কেন?
প্রসঙ্গত, পরিচালক আগেও ‘তাসখন্দ ফাইলস’ ও ‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর মতো ছবি তৈরি করেছেন। এবার তাঁর রাজনৈতিক থ্রিলারের তৃতীয় অধ্যায় বাংলাকে কেন্দ্র করে। প্রথমে ছবিটির নাম ছিল ‘দ্য দিল্লি ফাইলস’, তবে সাব-টাইটেলে লেখা ছিল ‘দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’। পরে দর্শকের আগ্রহের কথা বলে ছবির নাম বদলে দেওয়া হয়। সেই সময় থেকেই এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
উল্লেখযোগ্য, ২০০৫ সালে এক ছবির শুটিং চলাকালীন বাংলারই এক অভিনেত্রী পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন। অভিযোগে বলা হয়, ক্যামেরার পিছনে তাঁকে অশালীন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আইনজীবীর দাবি অনুযায়ী, পরিচালক নিজেই একটি আইনি নোটিশে ঘটনাটি স্বীকার করেছিলেন। পরে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়।
ফলে নতুন প্রশ্ন উঠছে— জেল এড়ানো ও রাজনৈতিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্যই কি তিনি বিজেপির পক্ষে প্রচারমূলক সিনেমা বানাতে শুরু করেছেন? গত জুনে ছবির ঝলকে যেভাবে ঘটনাবলি দেখানো হয়েছিল, তাতেও বিতর্ক তৈরি হয়। বিশেষ করে বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে ছবির নাম পরিবর্তন করে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ রাখা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণার অভিযোগ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment